• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১লা পৌষ ১৪৩২ রাত ০১:৪৫:৪৭ (16-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ওপর এ ধরনের হামলা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।১৪ ডিসেম্বর রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় গুতেরেস বলেন, ‘সুদানের কাদুগ্লিতে জাতিসংঘের ঘাঁটিতে ভয়াবহ ড্রোন হামলার ফলে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর হামলা সম্পূর্ণ অন্যায্য এবং এ ধরনের তৎপরতা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের কর্মী ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এসব ঘটনায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি।’এক্সবার্তায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।এদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘বৈশ্বিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।শনিবার সুদানের আবেই জেলার কাদুগ্লিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত হন ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তারা হলেন— কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা, সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম, সৈনিক শামীম রেজা, সৈনিক শান্ত মণ্ডল, মেস ওয়েটার জাহাঙ্গীর আলম এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সুদানের সেনা-সমর্থিত সরকার এক বিবৃতিতে এ হামলার জন্য দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)-কে দায়ী করেছে। সুদানের সেনাপ্রধান ও সরকারপ্রধান জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এ হামলাকে ‘বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আরএসএফ কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত চলছে। এ সংঘাতে রাজধানী খার্তুম ও দারফুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ ও প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শিগগিরই এ সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।