• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১২ই কার্তিক ১৪৩২ বিকাল ০৫:১০:০২ (27-Oct-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

মানহীন কীটনাশকের কারণে উচ্চমূল্যেও লোকসানের আশঙ্কায় ঈশ্বরদীর শিম চাষিরা

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:  পাবনার পাইকারি বাজারে শিমের কেজি ৪০ টাকা হলেও খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। মৌসুমের এই সময়েও শিমের এমন আকাশচুম্বী দামে দিশেহারা সাধারণ জনগণ। অন্যদিকে চলমান এই উচ্চমূল্যেও লোকসানের চিন্তায় হাঁশফাঁস করছেন শিম চাষিরা। স্থানীয় কীটনাশকদের সরবরাহ করা মানহীন কীটনাশকের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন চাষিরা। নিম্নমানের কীটনাশক ব্যবহার করে একদিকে অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে তাদের, অন্যদিকে ফসলের কোনো উপকারে লাগছে সেটা। তাই খরচের চেয়ে ফলন কম হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা।এদিকে উপজেলার শিম প্রধান এলাকা বাঘহাছলা, পতিরাজপুর, অরণকোলা, মুলাডুলি, রামনাথপুর, মারমী, সুলতানপুর, শেখপাড়া প্রভৃতি অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, সকাল-সন্ধ্যায় নিয়মিত রুটিন করে শিমের জমিতে ও মাচানে কাজে ব্যস্ত কৃষকরা। শিম গাছের লতা ছাড়ানো, শুকিয়ে যাওয়া ফুল পরিষ্কার করা এবং নিয়ম করে সকাল-সন্ধ্যায় ছত্রাক নাশক, ভিটামিন ও পচন রোধে স্প্রে করছেন তারা। ঢুলটি এলাকার শিম চাষি সাইদুল ইসলাম জানান, ‘স্থানীয় কীটনাশক ব্যবসায়ীদের মানহীন কীটনাশক বিক্রির ফলে চাষিরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কেননা মানহীন কোম্পানির কীটনাশক দোকানিরা বিক্রি করে অধিক টাকা মুনাফা করতে পারে বলে তারা এসব কোম্পানির বালাইনাশক বেশি বিক্রি করে। এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। কারণ, এসব নিম্নমানের কীটনাশক ফসলের জন্য কোনো উপকারে আসে না।রেজওয়ান নগর এলাকার শিম চাষি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য সবজির তুলনায় শিম চাষে বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। সেই সাথে প্রচুর পরিমাণ কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। এতে খরচ পড়ে বেশি।ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মমিন বলেন, বর্তমানে দেশের বাজারে ৭ থেকে ৮শত রেজিস্ট্রেশন করা বৈধ কীটনাশক কোম্পানি রয়েছে। যাদের মধ্য থেকে প্রতিমাসে তাদের পণ্যের গুণগত মান যাচাই করতে আমরা নিয়মিত ল্যাবে প্রেরণ করে থাকি। এরমধ্যেও কোম্পানিগুলো মানহীন পণ্য উৎপাদন করে ফেলে। এতে আমাদের কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলে এ বছর মোট ১২৯০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯১০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শিম চাষ করেছে কৃষকরা। তবে শিমের ভালো ফলন পেতে নিয়মিত গুণগত মানসম্পন্ন বালাইনাশক স্প্রে করতে কৃষকদের পরামর্শ দেন তিনি।