ডেস্ক রিপোর্ট: শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন মহিলাদের আত্মজিজ্ঞাসা ও জ্ঞানানুশীলনমূলক সংগঠন আলোর পথের ব্যবস্থাপনায় “কোরআন ও হাদিসের আলোকে ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে নারী ও পুরুষের ভূমিকা : বর্তমান প্রেক্ষাপট” শীর্ষক মহিলা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৫ অক্টোবর শনিবার ট্রাস্টের নিজস্ব মিলনায়তনে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।


মাহফিলে নির্ধারিত বিষয়ের উপর আলোচনা করেন বিশিষ্ট ইসলামী স্কলার সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুন্নবী আজহারী। তিনি বলেন, ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে নারী-পুরুষের অবদান অনস্বীকার্য। তবে ক্ষেত্র বিশেষে পিতার চেয়ে মাতার ভূমিকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ । এ প্রসঙ্গে তিনি হযরত বড়পীর শায়খ সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী (র.), হযরত ইমাম বুখারী (র.), ইমাম মালেক (র.) ও হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (র.) প্রমুখ মণীষীদের মহীয়সী মায়েদের অনন্যসাধারণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন

তিনি বলেন, মুমিন নরনারী একে অপরের বন্ধু, তারা পরস্পর সহযোগী-প্রতিযোগী নয়। তাদের মধ্যে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে। সুতরাং ভারসাম্যপূর্ণ, স্থিতিশীল সমাজ গঠনে নারী-পুরুষ উভয়কে আল্লাহর রাসূলের বিধান অনুযায়ী নিজেদের গঠন করতে হবে, সালেহ পিতা-মাতার সালেহীন সন্তানরা এ ধরনের সমাজ গঠনে অবদান রাখতে পারে। বর্তমান অস্থিতিশীল, ভোগবাদী সমাজে তাঁদের এই পুণ্যময় আধ্যাত্মিক সম্পর্কই স্থিতিশীলতা ও প্রশান্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম। সংঘাত মুক্ত, শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণের জন্য আমাদেরকে ইসলামের সোনালি যুগের মহাত্মা নারী-পুরুষের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে হবে।
সাদিয়া সুলতানা ও আলিশা আকতারের সঞ্চালনায় মাহফিলে কোরআন তেলাওয়াত করেন সিদরাতুল মুনতাহা, নাতে রাসুল (দ.) ও মাইজভাণ্ডারী কালাম পরিবেশন করেন সুমাইয়া বিনতে মোস্তফা ও রাজিয়া সুলতানা পপি। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উম্মে আল আসফিয়া।
পরিশেষে দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের পরিসমাপ্তি ঘটে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available