রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নের ছোট্ট গ্রামটিতে শিশুরা খেলছিল উঠানে। হাসির শব্দে ভরে ছিল চারপাশ। কেউ জানত না, এই হাসিই হবে শেষ হাসি তিন শিশু সুমাইয়া (৫), হাবীবা (৬) আর জান্নাতের (৫)। তারা তিনজনই একে অপরের আত্মীয়।
সুমাইয়া আকতারের বাবার নাম মো. রাজু, হাবীবা আকতারের বাবা মো. কালু ও জান্নাত আকতারের বাবার নাম মো. নাসের। সন্ধ্যার দিকে ৩ শিশুর নিথর দেহ পুকুরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি তাদের মৃত ঘোষণা করেন।


খেলার ছলে তারা গিয়েছিল পাশের পুকুর পাড়ে। কেউ বুঝে ওঠার আগেই নিস্তব্ধ হয়ে যায় আকাশ-বাতাস। কিছু সময় পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন চারদিকে খুঁজতে থাকেন। হঠাৎ কারও চোখে পড়ে, পুকুরের পানিতে ভাসছে তিনটি নিথর দেহ। মুহূর্তেই কান্নায় ভেঙে পড়ে চারপাশ।

২৪ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের স্থানীয় একটি পুকুরে পড়ে তারা মারা যায়। একসঙ্গে তিন শিশুর মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো এলাকা। গ্রামের প্রতিটি ঘরে যেন একটিই প্রশ্ন— কেন এমন হলো?
মা-বাবারা নির্বাক, কেউ কথা বলতে পারছেন না। যাদের কোলে একটু আগেও সন্তানরা হাসছিল, সেই কোল আজ খালি। বিকেলের শেষ সূর্যটা যখন দিগন্তে হারিয়ে গেল, তখনো কান্নার ধ্বনি ভেসে আসছিল পারুয়ার সেই গ্রাম থেকে। তিনটি শিশুর চলে যাওয়া যেন নিস্তব্ধ করে দিয়েছে সবার হৃদয়।
পারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যৃর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা পারুয়ায় অনেক দিন দেখিনি। তিনটি নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকে ডুবে আছি।”
রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এ টি এম শিফাতুল মাজদার বলেন, 'পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি কেউ জানায়নি।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available