• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১১ই কার্তিক ১৪৩২ সকাল ১১:৩৩:৩৬ (26-Oct-2025)
  • - ৩৩° সে:

হাঁটু পানি পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয় শিশু শিক্ষার্থীদের

১১ আগস্ট ২০২৩ দুপুর ১২:০০:২৭

সংবাদ ছবি

টাঙ্গাইল (উত্তর) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলে হাঁটু পানি পেরিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। চলাচলে উপযোগী রাস্তা না থাকায় বিপাকে পড়েছে তারা। গোপালপুর উপজেলায় হেমনগর ইউনিয়নে উড়িয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়ার রাস্তা না থাকায় একটু বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি ভেঙে যেতে হয় তাদের। অপরদিকে বিদ্যালয়ের মাঠ না থাকায় খেলাধুলার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত তারা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসফিয়া সিরাত বলেন, দ্রুত সরেজমিনে গিয়ে রাস্তার কাজ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Ad
Ad

নলিন বাজার হতে বাংলাবাজার সড়কের উড়িয়াবাড়ী গ্রামে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৮৭ সালে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ক্ষেতের আইল পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে হয় শিশুদের।

Ad

সরেজিমনে গিয়ে দেখা যায়, সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায় সেখানে। তার মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে শিক্ষার্থীরা।  

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী শিমু আক্তার বলেন, প্রতিনিয়ত বই, খাতা ও পরনের পোশাক ভিজে যায়। তাই আমাদের রাস্তা ও মাঠ নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য দাবি জানাই। বৃষ্টির দিনে হাঁটু পানি পেরিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। তাতে বই, খাতা ও জামা ভিজে যায়। তাই মা এই বিদ্যালয়ে যেতে নিষেধ করেন।

তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র নাবিল হোসেন বলেন, বৃষ্টি হলে ক্ষেতের আইল ডুবে যায়, তাই সাইকেল নিয়ে স্কুলে আসা অনেক কষ্টের। সরকার যেন দ্রুত আমাদের স্কুলের রাস্তা বানিয়ে দেয়।

অভিভাবক ইউছুপ আলী বলেন, আমার দুই মেয়ে এই স্কুলে পড়ে, বৃষ্টি হলে ক্ষেতের আইলে পানি উঠে যাতায়াতে ঝুঁকি হয়, তাই কাজ বাদ দিয়ে মেয়েদের স্কুলে রেখে আসতে হয়। রাস্তাটি যেন দ্রুত বানিয়ে দেয়া হয়।

প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, বৃষ্টির মৌসুমে বিদ্যালয়ে আসতে প্রতিদিনই ছাত্রছাত্রীদের বই খাতা ভিজে যায়। এতে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ, তাছাড়া মাঠ না থাকায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, ওয়াশব্লক বরাদ্দ হয়েছিল। রাস্তা না থাকায়, অতিরিক্ত খরচে মালামাল বহন করে কাজ করতে ঠিকাদার রাজি হননি। এই বিদ্যালয়ে দপ্তরিও নিয়োগ হয়নি বলে জানান তিনি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও দাতা সদস্য অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান রতন শিশুদের যাতায়াতে ঝুঁকি ও ভোগান্তি স্বীকার করে বলেন, তিনদিকে বাড়ি ও একদিকে বড় সড়ক থাকায় বৃষ্টির পানি নামতে পারে না। তাই বৃষ্টি হলে দ্রুত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ছাত্রছাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান তালুকদার হীরা বলেন, বিদ্যালয়ের রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ এসেছিল, কিন্তু জমির মালিকরা রাস্তা নির্মাণে আপত্তি জানানোয় বরাদ্দ ফেরৎ গেছে। বিদ্যালয়ের রাস্তা ও মাঠ নির্মাণে পুনরায় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে।

এবিষয় গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসফিয়া সিরাত বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি ইতোমধ্যেই জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি। জমি নিয়ে অতীতে যে জটিলতার উদ্ভব হয়েছিল, দ্রুতই জমির মালিকদের নিয়ে বসে বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধান করা হবে। যাতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতের পথ সুগম করা যায়। আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাঠ থাকা অত্যন্ত জরুরি। খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটে। বিদ্যালয়টিতে খেলাধুলার উপযোগী মাঠ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ



সংবাদ ছবি
ঝিনাইদহে আলেমদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময়
২৬ অক্টোবর ২০২৫ সকাল ১১:১৭:১৪


সংবাদ ছবি
সত্যের পথে বিএনপি অটল : ফয়জী
২৬ অক্টোবর ২০২৫ সকাল ১১:০৭:৩৬





সংবাদ ছবি
সেনবাগে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
২৬ অক্টোবর ২০২৫ সকাল ০৯:৩৮:৩২


Follow Us