ইউএই প্রতিনিধি: সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ।

শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদরা তিনটি স্বর্ণ ও দুটি ব্রোঞ্জ মোট পাঁচটি পদক জিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের পতাকা উঁচু করেছেন।


এই ঐতিহাসিক সাফল্য নিয়ে দেশে ফেরার পথে ১৪ ডিসেম্বর রোববার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবর্ধিত হন লাল-সবুজের পতাকাবাহী বিজয়ীরা।
এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাস ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রবাসী সাংবাদিকরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ক্রীড়াবিদদের।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্যারা ক্রীড়াবিদদের এই সাফল্য দেশের জন্য গর্বের।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই কনসাল জেনারেল মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, এই অর্জন ভবিষ্যৎ প্যারা ক্রীড়াবিদদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব উম্মে ইসরাত বলেন, প্যারা ক্রীড়াবিদদের নিয়মিত পরিচর্যা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
এই সাফল্যের প্রধান দুই নায়ক হলেন চৈতী রানী দেব ও মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ। অত্যন্ত স্বল্প উচ্চতার চৈতী রানী দেব একাই জিতেছেন দুটি স্বর্ণপদক-জ্যাভলিন থ্রো ও ১০০ মিটার স্প্রিন্টে।
অন্যদিকে, দুই পা না থাকা সত্ত্বেও এক পায়ে সাঁতার কেটে ইতিহাস গড়েছেন মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ। তিনি ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে স্বর্ণ এবং ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন।
এছাড়া মেয়েদের হুইলচেয়ার বাস্কেটবল দল একটি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছে।
এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা ইভেন্টস চীফ অব মিশন পাপ্পু লাল মধু বলেন, সীমিত সুযোগের মধ্যেও ক্রীড়াবিদদের অদম্য মনোবলই এই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
ন্যাশনাল প্যারা অলিম্পিক কমিটি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ড. মারুফ আহমেদ মৃদুল জানান, সাতটি ভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ এই সাফল্য অর্জন করেছে, যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে বাংলাদেশের এ অর্জন কেবল পদক জয় নয়-এটি সম্ভাবনা, সাহস ও অদম্য মনোবলের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available