নিজস্ব প্রতিবেদক: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার ২ দিন পর পল্টন থানায় মামলা হয়েছে।

থানার একজন কর্মকর্তা ১৪ ডিসেম্বর রোববার রাত ২টার দিকে একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে একজনের নাম দেওয়া হয়েছে। তবে ওই কর্মকর্তা নিজের নাম বলতে রাজি হননি।


ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গিয়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুরুতর আহত হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার পর রাতেই তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা ‘ভালো নয়’ বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে হাদিকে গুলি সময় ব্যবহার করা মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে রোববার ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
আততায়ীর পালানো ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর নজরদারির মধ্যে শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকা থেকেও ২ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
রোববার রাতে আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে র্যাব। তারা হলেন প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সামিয়া ও শ্যালক শিপু এবং বান্ধবী মারিয়া।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, শুক্রবার হাদিকে গুলির আগে ও পরে তাদের সঙ্গে ফয়সালের ঘনঘন ফোনে কথা বলার তথ্য পেয়েছেন তারা।
র্যাব বলেছে, এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত ফয়সালের স্বাক্ষর করা বিপুল পরিমাণ চেকবই এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ ৩ জন সন্দিগ্ধ ব্যক্তিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available