জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন ছাত্রনেতা।

গত ১১ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত “জুলাই অগ্নিকন্যা সম্মাননা” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হলেও উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের অজুহাতে উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানান।


আমন্ত্রণ জানাতে গেলে তিনি বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যাবো না”।

তবে তিনি জবি শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী মনোসামাজিক স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প এবং আজ (২৮ নভেম্বর) কবি মতিউর রহমান মল্লিক মেরিট অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তারা বলছে, উপাচার্য মহোদয়ের কাছে ছাত্র অধিকার পরিষদের অনুষ্ঠান রাজনৈতিক, কিন্তু ছাত্র শিবিরের অনুষ্ঠান অরাজনৈতিক—এমন বৈষম্য কেন? তাহলে এমন প্রশাসনের অধীনে আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষ হবে?
এই প্রসঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, “স্যারের কাছ থেকে আমরা এমনটা প্রত্যাশা করিনি। স্যার যদি রাজনৈতিক সংগঠনের প্রোগ্রামে না যান, তাহলে কোনো প্রোগ্রামেই যাওয়া উচিত নয়।
কোনোটায় যাবেন, কোনোটায় যাবেন না—দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত নয়।
”অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম যে ছাত্র সংগঠনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম, সেটি ছিল ছাত্র অধিকার পরিষদের। ওই অনুষ্ঠানেও আমাকে একই ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।”
আসন্ন জকসু নির্বাচন কতটা নিরাপদ ও নিরপেক্ষ হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আসন্ন জকসু নির্বাচন শতভাগ নিরপেক্ষ ও ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর।”
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available